মেহেরপুরে বেড়েছে তালশাঁসের চাহিদা

dainikmeherpurdainikmeherpur
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:51 AM, 26 May 2023

“ওই দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐখানেতে বাস করে কানাবগির ছা” গ্রামে এখন বকের ছা থাক বা না থাক, তাল গাছগুলো ভরে উঠেছে কচি তালে। সকলেরই জানা, তাল গাছ শুধু পরিবেশ ও প্রকৃতির বন্ধুই নয়। মানুষের কল্যাণেও এর জুড়ি নেই। সুমিষ্ট আর রসালো ফল দেওয়া ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে তালগাছ মানুষকে রক্ষা করে থাকে। যে কারণে বর্তমান সরকার তাল গাছ রোপণের উপর জোর দিয়েছেন। গত কয়েকবছর ধরে মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় তালগাছ রোপণের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।

এখন মধুমাস জৈষ্ঠ্যমাস চলছে। মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রায় প্রতিটা শহর ও গ্রামে আম, লিচু আর কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের সমাহারের মধ্যে ভেজালমুক্ত তালশাঁস বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির তুলনায় ক্রেতাদের কাছে কদর বেড়েছে তালশাঁসের। প্রতিটা পাড়া-মহল্লায় ভ্যানগাড়িতে কিংবা তাল গাছের নিচে মিলছে রসালো কচি তালশাঁস। ফুটপাত ও পাখিভ্যানের উপর তীক্ষ্ণ দা এর কোপে শক্ত খোলস থেকে সরস তালশাঁস বা চোখ বের করে আনছেন বিক্রেতারা। প্রতিটা তালে ৩টি করে শাঁস রয়েছে। কোনটার আবার রয়েছে ২ টি করে শাঁস। প্রতিটা শাঁস ৫ টাকা দরে প্রতি ৪ পিস ২০ টাকা, কোথাও কোথাও ৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা কেনার জন্য পাখিভ্যানের চারিপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষকে।
গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের তালশাঁস বিক্রেতা পল্টু জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য তাল গাছের কাধি কেনা রয়েছে। প্রতিদিন তালগাছ থেকে ৩’শ থেকে ৪’শ তাল নামিয়ে তা গ্রামের বিভিন্ন মোড়সহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছি। প্রতিটা গাছের তাল ৩’শ থেকে ৫’শ টাকায় কিনে তা বিক্রি করে ১৩/১৫’শ টাকা হচ্ছে।
আকুবপুর গ্রামের রোকেয়া খাতুন জানান, ভেজালমুক্ত ফল বলতে মনে হয় তালশাঁসই রয়েছে। তালগাছ শুধুমাত্র তালশাঁস দেয় তা কিন্তু নয়, গাছ থেকে তালের রস, রস হতে গুড় ও মিছরিও তৈরি হয়ে থাকে। তাছাড়া পাকা তাল দিয়ে গ্রামের মহিলারা বিভিন্ন ধরনের বাহারি পিঠাও তৈরি করে থাকে।

আপনার মতামত লিখুন :