মেহেরপুরে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের মূল্য বেড়ে দ্বিগুণ।

dainikmeherpurdainikmeherpur
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:11 AM, 27 June 2023

পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ১’শ ৬০ টাকার পরিবর্তে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩’শ টাকায়। গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে মরিচের মূল্য ছিল ১’শ ৫০ টাকা, যা গত রোববার বিক্রি হয়েছে ২’শ ২০ টাকায় এবং সোমবারে বিক্রি হতে দেখা গেছে ২’শ-৫০ থেকে ২’শ ৭০ টাকা পর্যন্ত। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩’শ টাকা কেজি দরে।

ক্রেতাদের দাবি, কাঁচা মরিচ কেনার পর অন্যান্য শাকসবজি কেনা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে খুচরা বাজারে শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, দারচিনি, এলাচি, সেমাই, চিনি, কিচমিচ, বাদাম, ডালডা, সয়াবিন, পোলাও চাল ও সোলার ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
মাইলমারী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মিঠুন জানান, মেহেরপুর তহবাজার থেকে ২’শ ৬৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনে আনা হয়েছে। গাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে ২’শ ৭০ টাকা কেজি দরে কেনা পড়েছে। বাজারে বিক্রি করছি ২’শ ৮০ টাকা কেজি দরে। এর কমে বিক্রি করা সম্ভব না। বাজারে অনেকে ৩’শ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছেন।
মেহেরপুর বড়বাজার তহবাজারের মহলদার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নাসিরউদ্দিন জানান, চাহিদার তুলনাই বাজারে কাঁচা মরিচের যোগান কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া প্রচন্ড গরমের পর হঠাৎ বৃষ্টিতে মরিচের ক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়েছে যার ফলে মরিচের উৎপাদনও কম হচ্ছে। হাতে গোনা কয়েকজন চাষী ৫/১০ কেজি করে মরিচ নিয়ে আড়তে আসছেন। যা চাহিদার তুলনায় একেবারে নগন্য।
গাংনী কাঁচা বাজারের আড়ৎদার মামুন জানান, রোববার ২’শ ২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বেচা-কেনা হলেও সোমবার ২’শ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বেচা-কেনা চলছে। সন্ধার দিকে কাঁচা মরিচের মূল্য আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মেহেরপুরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, কৃষি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কর্তৃক নিয়মিত বাজার মনিটরিং হচ্ছে। বর্ষাকালে সাধারণত: মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলেও মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
তবে কোন ব্যবসায়ী যদি তার ইচ্ছে মতো (কারসাজি করে) কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :