গাংনীতে কল্যাণপুর জাগ্রত বিবেক যুবসমাজের ১ম বর্ষপূর্তি উদযাপন
মানবতার কল্যাণে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপি’র কল্যাণপুর জাগ্রত বিবেক যুবসমাজ।
ঠিক আজকের এই দিনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ উপলক্ষে সংগঠনটির প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ জুলাই), বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কল্যাণপুর জাগ্রত বিবেক যুবসমাজের নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে এ বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়।
কল্যাণপুর জাগ্রত বিবেক যুবসমাজ আয়োজিত বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক কাওসার জোয়ার্দার।
কল্যাণপুর জাগ্রত বিবেক যুবসমাজের সভাপতি সোহানুর রহমান সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মেহেদী হাসান, সমাজ সেবক আবু বক্কর, বিল্লাল হোসেন ও সমাজ সেবক খেদের আলী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কল্যাণপুর জামে মসজিদের ইমাম মনিরুল ইসলাম।
স্বেচ্ছাসেবক কদ্বর আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সহ-সভাপতি হুসাইন, সাধারণ সম্পাদক নাঈম, স্বেচ্ছাসেবক শিমুল, রাকিবুল ইসলাম, আসাদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সংগঠনের সদস্য, উপকারভোগী ও শতশত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে গত ১ বছরের সফলতা ও বিফলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আগামীতে জনগণের পাশে থেকে কিভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
উল্লেখ্য, সংগঠনটির কার্যক্রম উপজেলা ও জেলা ছাড়িয়ে জেলার বাইরে পর্যন্ত বিস্তৃত।
মূলতঃ ইসরাফিল হক, সাহাজুল ইসলাম সাজু, মিশকাত আলী, হাবিবুর রহমান, হানিফ, স্বপন, হেলাল, এরশাদ হুসাইন, সেলিম রেজা, মিল্টন, আরোজুল্লা, তাসু, লিটন, শাহিন, মিলন, সুজন, হাসান, সাইফুলসহ
বেশ কয়েকজনের উদ্যোগে এগিয়ে চলেছে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড।
অসহায় ও দুস্থ, বিধবা, বয়স্ক, শীতার্ত ও অসুস্থ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এবং মসজিদ নির্মাণ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে সংগঠনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীর কাছে।
অসুস্থ ব্যক্তিদের ওষুধ ডাক্তার ও চিকিৎসাসহ নগদ অর্থ প্রদান করে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে। যে কারণে যেকোন বিপদে এলাকার মানুষের কাছে বিপদের বন্ধু হয়ে উঠেছে কল্যাণপুর জাগ্রত বিবেক যুবসমাজ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা কল্যাণপুর জাগ্রত বিবেক যুবসমাজের আগামীর পথচলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
১ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শেষে সকলের সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন মাওলানা শরিফুল ইসলাম।
পরে সন্ধার দিকে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।