গাংনীর ধলা গ্রামের নইলো হত্যার রায়ে, কৃষকলীগ নেতা আতিয়ারসহ ৮জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষি নারায়ণপুর ধলা গ্রামের এনামুল হক নইলো হত্যার দায়ে, গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমানসহ ৮জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহীদুল্লাহ এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আতিয়ার রহমান গাংনী উপজেলার লক্ষি নারায়ণপুর ধলা গ্রামের ছফিতুল্লাহের ছেলে, ছামিদুল ইসলাম একই গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে, শাহার আলী রহমতুল্লাহর ছেলে, টিপু সুলতান সাহার আলীর ছেলে, আব্দুল খালেক গোলাম মোস্তফার ছেলে, আক্তারুজ্জামান আক্তার আহাম্মদ আলীর ছেলে, আব্দুল মান্নান জামান আলীর ছেলে এবং জিল্লুর রহমান আজিত বকসর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামে ঈদগাহ মাঠের কাছে সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হক নইলো”র উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় আতিয়ার এর লোকজন তার উপর হামলা চালায়। হামলায় এনামুল হক নইলোর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত এনামূল হক নইলোর ভাই আজমাইল হোসেন টুটুল বাদী হয়ে দঃবিঃ ১৪৩/৩৪১/৩০২/৩৪ ধারায় আতিয়ার রহমানসহ ৮জনকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলার নং গাংগী থানা ৩৪। জি আর কেস নং ২৪১/১৭। দায়রা কেস নং ১৬৯/১৮। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই মাহাতাব উদ্দিন। এবং পরে সিআইডি’র এসআই হাসান ইমাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন।
মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষীদের সাক্ষে আসামী আতিয়ার রহমান,ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমান দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম,শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। একই সাথে প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমান। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মামলা রাষ্ট্রপক্ষে পি পি পল্লব ভট্টাচার্য। এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন। এদিকে চাঞ্চল্যকর নইলো হত্যা মামলার রায় ঘোষনার পূর্বে মেহেরপুর আদালতে কড়া পুলিশী নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিদের কড়া নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্হার মধ্যে আদালত থেকে কয়দীখানায় নিযে যাওয়া হয়। এ সময় সাজা প্রাপ্ত আসামিদের নিকট আত্মীয়রা তাদের দেখার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে ভীড় জমান ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে।