মেহেরপুরে তরমুজের কেজি ৭০!
মেহেরপুরে তরমুজের কেজি ৭০ টাকা! ক’দিন পূর্বেও ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পরে ৬০ টাকা অবশেষে বুধবার তা ৭০/৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ ব্যবসায়ীদের যৌথ কারসাজিকে দায়ী করছেন সাধারণ জনগণ।
জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা শহর ছাড়াও বামুন্দী, জোড়পুকুরিয়া, ভোমরদহ, ধানখোলা, সাহারবাটী, ভাটপাড়া, হিন্দা, মাইলমারী, হিজলবাড়ীয়া, কাজীপুর, হেমায়েতপুর, করমদী, সহড়াতলা, গাঁড়াডোব, বারাদী, আমঝুপি, কেদারগঞ্জ, আনন্দবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার ঘুরে সকল স্থানে একই দৃশ্য দেখা গেছে। যদিও তরমুজ বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। সেখানে প্রতি পিস ছোট সাইজের ১ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ ৩ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০/২২০ টাকা এবং মাঝারি ৫ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকায়।
অসহায় জনসাধারণ উপায় না পেয়ে চওড়া মূল্যেই ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। সম্প্রতি গাংনী উপজেলা শহরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হলেও শুধুমাত্র ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় কিছুটা কম মূল্যে বিক্রি হলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্থান ত্যাগ করার পর পরই চওড়া মূল্যে বিক্রি করতে শুরু করেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তারপরও আভিযানিক কর্মকর্তারা নীরব রয়েছে।
পবিত্র রমাদানে রোজাদারদের জন্য তরমুজের বিকল্প নেই। এমতবস্থায় অন্তত: রমাদানে তরমুজের মূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগাল রাখতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা জরুরি বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।
এবিষয়ে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীমকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের আবারও বাজার মনিটরিংয়ের কথা জানালেও অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।